ঈগল পাখি কত বছর বেঁচে থাকে? ঈগল পাখির আয়ুষ্কাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

পাখিরা রাজা বলা হয় ঈগল পাখিকে কিন্তু ঈগল পাখি সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানেন তো। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ঈগল পাখির সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না অনেকে প্রয়োজনে অনলাইনে অনুসন্ধান করেন ঈগল পাখি কত বছর বাঁচে ও ঈগল পাখির আয়ুষ্কাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

তবে আজকের এই আলোচনায় আজ আমরা আপনাকে ঈগল পাখি ও ঈগল পাখির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। তবে প্রথমেই আমাদের ঈগল পাখি সম্পর্কে জানতে হবে। 

ঈগল পাখি সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য

আকাশে উড়তে থাকা বৃহৎ আাকারের পাখির মধ্যে ঈগল পাখি সবচেয়ে বড়। পাখিটির আকার বড় হওয়ার পাশাপাশি পাখিটি বেশ দক্ষ শিকারি পাখি ও শক্তিশালী পাখি। মানুষের কাছাকাছি অঞ্চলে ঈগল পাখি দেখা যায় না বরং পাখিটি বনের ঘন জঙ্গলে বসবাস করতে ভালোবাসে।

ঈগল পাখি লম্বায় প্রায় 35 ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে ও ওজনের দিক থেকে প্রায় ৩০ কেজি। আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন যে একটি পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ঈগল পাখি প্রায় ১১ হাজার ফুট উপর দিয়ে খুব অনায়াসেই উড়তে পারে।

শীত প্রধান দেশে ঈগল পাখি খুব কম দেখা যায় ও যখন শীতের পরিমাণ বেশি হয় তখনই গল্প পাখি ঐ অঞ্চল ছেড়ে কম শীতের অঞ্চলে পাড়ি জমায়। ঈগল পাখি মানুষ বসবাস করে এমন জায়গায় বাসা তৈরি করে না বরং গহীন বনের গাছের বা পাহাড়ের গুহায় বসবাস করে ও কমপক্ষে ১০০ ফুট উপরে বাসায় তৈরি করে পাখিটি।

ঈগল পাখির বৈশিষ্ট্য

ঈগল পাখির বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে এ সকল বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ঈগল পাখিকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়:

  • এই পাখিটি শিকারী পাখি। ঈগল পাখি বিভিন্ন ধরনের শিকার করে থাকে এর মধ্যে রয়েছে সরীসৃপ,মাছ,ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখি। 
  • ঈগল পাখির তীক্ষ্ণ দৃষ্টি শক্তি যা মানুষের চেয়ে সম্পন্ন প্রায় পাঁচ গুণ বেশি তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। ঈগল পাখি তিন মাইল দূরের যেকোনো বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পারে। 
  • ঈগলের ধারালো নখ ও ঠোঁট থাকে যা শিকার করতে ও ছিঁড়ে ফেলতে সাহায্য করে। 
  • ঈগল পাখির বড় ডানা আছে যার কারণে ঈগল পাখি দীর্ঘক্ষণ ধরে আকাশে উড়তে পারে। 

এবার তবে আসুন জেনে নিয়ে এই গল্পাকে কত বছর বাঁচে ও ঈগল পাখির আয়ুষ্কাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

আরও পড়ুনঃ ফিঞ্চ পাখি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

ঈগল পাখি কত বছর বেঁচে থাকে?

ঈগল পাখির গড় আয়ুষ্কাল ২০ বছর বান্ধ ধরা হয়। তবে যে সকল ঈগল পাখি বন্দি অবস্থায় রাখা হয় সে সকল ঈগল পাখি প্রায় ৩০ বছরের বেশি বাঁচতে পারে। তবে বেশ কিছু কারণে ঈগল পাখির আয়ুষ্কালের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

যেমন:

  • প্রজাতি ভেদে ঈগল পাখির আয়ুষ্কাল ভিন্ন হতে পারে। 
  • পরিবেশে খাদ্য আশ্রয় ও শিকারীদের উপলব্ধতা ঈগল পাখির আয়ুষ্কালকে প্রভাবিত করতে পারে। 
  • রোগের কারণে বা আঘাত বা দুর্ঘটনার কারণে ঈগল পাখির আয়ুষ্কাল কম হতে পারে। যা ঈগল পাখির গড় আয়ুষ্কাল আর তুলনামূলকভাবে কমিয়ে দিতে পারে। 
  • মনুষ্য সৃষ্ট সমস্যার কারণে বর্তমানে ঈগল পাখির আয়ুষ্কাল বেশ কমে হয়ে আসছে। এ সকল সমস্যার মধ্যেই রয়েছে ঈগল পাখির বাসস্থান ধ্বংস ও ঈগল পাখি শিকার। 

ঈগলের জীবনচক্র

অন্য সকল পাখির দিক থেকে তুলনা করলে ঈগল পাখির জীবন চক্র বেশ আলাদা। ঈগল পাখির শিশুকাল প্রায় ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হয় এর মধ্যে ঈগল পাখি আকাশে উড়তে শিখে ও তাদের দেহে পালক বৃদ্ধি হয়। ঈগল পাখির এই প্রথম ছয় সপ্তাহ অর্থাৎ দেড় মাসকে ঈগল পাখির শিশুকাল বলা হয়। ঈগল পাখিরে ছয় সপ্তাহ থেকে দুই বছর পর্যন্ত বয়সকে বলা হয় কিশোরকাল।

এই বয়সে ঈগল পাখি তার পিতামাতার নিকট হতে স্বীকার করতে ও স্বাধীনভাবে বসবাস করতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। যখন ঈগল পাখির বয়স চার থেকে পাঁচ বছর হয় তখন ঈগল পাখি প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এ সময় ঈগল পাখির জোড়া গঠন করে প্রজনন শুরু করে।

ঈগল পাখির বয়স ২০ বছর হওয়ার সাথে সাথে তাদের দেহের শক্তি ক্রমান্বয়ে কমে আসে এই বয়সকালকে বলা হয় ঈগল পাখির বয়স্ককাল। 

শেষ কথা

আশা করি আমরা আপনাকে ঈগল পাখি কত বছর বাঁচে ও ঈগল পাখির বয়সকাল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাকে জানাতে পেরেছি। যদি ঈগল পাখি কত বছর বাঁচে এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *