বাংলাদেশের ছোট পাখি গুলোর নাম কি?

বাংলাদেশে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল আমাদের দেশীয় ছোট পাখি। এদেশের গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন রঙের, আকারের ও স্বভাবের ছোট পাখি। এই পোস্টে আমরা জানবো বাংলাদেশের কিছু সাধারণ ছোট পাখি সম্পর্কে, তাদের বৈশিষ্ট্য ও বাসস্থান।

১. টুনটুনি (Common Tailorbird)

টুনটুনি, যার বৈজ্ঞানিক নাম Orthotomus sutorius, একটি খুবই চঞ্চল পাখি। এটি বাংলাদেশের সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। টুনটুনি সাধারণত গাছের পাতার মধ্যে বাসা বানায় এবং পোকামাকড় খেয়ে জীবনধারণ করে।

২. দোয়েল (Magpie Robin)

বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল, বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis, শহর ও গ্রামের বাগানগুলোতে সাধারণত দেখা যায়। এরা ছোট আকারের এবং কালো ও সাদা রঙের মিশ্রণে খুব সুন্দর দেখায়। দোয়েল খুব সুন্দর গান গাইতে পারে, যা তার বিশেষ আকর্ষণ।

৩. বাবুই (Baya Weaver)

বাবুই পাখি, বৈজ্ঞানিক নাম Ploceus philippinus, তার অত্যন্ত শিল্পসম্মত বাসা বানানোর জন্য বিখ্যাত। এরা প্রধানত গ্রামের অঞ্চলে এবং ধানক্ষেতে বাস করে। বাবুই পাখির বাসা দেখলে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয়।

৪. শালিক (Common Myna)

শালিক, যার বৈজ্ঞানিক নাম Acridotheres tristis, বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। এরা শহরের ফাঁকা জায়গা, গ্রাম ও বাগানগুলোতে বাস করে। শালিকের খাদ্য তালিকায় রয়েছে পোকামাকড়, ফলমূল এবং ছোট ছোট বীজ।

৫. চড়ুই (House Sparrow)

চড়ুই পাখি, বৈজ্ঞানিক নাম Passer domesticus, আমাদের ঘরের আশেপাশে খুবই পরিচিত। এরা সাধারণত মানুষের তৈরি স্থাপনাগুলোতে বাসা বাঁধে এবং মানুষের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। এদের খাবারে থাকে ছোট ছোট বীজ, পোকামাকড় ও মানুষের দেয়া খাবার।

ছোট পাখির গুরুত্ব

বাংলাদেশের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ছোট পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। এরা পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা কৃষিকাজে সুবিধা দেয়। এছাড়া পাখিরা ফুলের পরাগায়ণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

বিভিন্ন কারণে, যেমন বনভূমি ধ্বংস, দুষণ এবং খাদ্যের অভাবে ছোট পাখির সংখ্যা কমছে। তাই আমাদের উচিত এই পাখিদের সংরক্ষণে সচেতন হওয়া এবং তাদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সব থেকে ছোট পাখির নাম কি?

শেষ কথা

বাংলাদেশের ছোট পাখিরা আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এদের রক্ষা করার মাধ্যমে আমরা আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করতে পারি। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে এই পাখিদের রক্ষায় সচেষ্ট হই এবং তাদের জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ বাসস্থান তৈরি করি।

এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তবে দয়া করে শেয়ার করুন এবং পাখি সংরক্ষণে অন্যদেরও উৎসাহিত করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *