পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি গুলোর নাম কি আমরা আমাদের প্রয়োজনে কিংবা শখের বসে জানতে চাই। কিন্তু একটি পোস্টে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি গুলোর নাম জানতে পারিনা। সেহেতু আজ আমরা আমাদের এই পোস্টে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি গুলোর নাম গুলোর সাথে সেই পাখি সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো।
সুন্দরের নাইতো শেষ অপরূপ সৌন্দর্য্যের ভরপুর আমাদের এই প্রকৃতি। আর এই প্রকৃতিকে পূর্ণতা প্রদান করেছে পাখি। প্রকৃতির শুরু থেকেই রয়েছে এসকল পাখি আবার কয়েকটি প্রজাতির পাখি কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে অপরূপ সৌন্দর্যের বেশ কিছু পাখি রয়েছে, যারা তাদের রূপ ও বৈশিষ্ট্যের জন্য পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়েছে। তাহলে আসুন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি গুলোর নাম কি এই সম্পর্কে জেনেনি।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি গুলোর নাম কি?
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি গুলোর নাম হলো:
- স্কারলেট ম্যাকাও
- ফ্ল্যামিংগো
- ময়ূর
- গোল্ডেন ফিজ্যান্ট
- ব্লু জে
- কিল- বিল টুকান
নিম্নে সকল পাখি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
স্কারলেট ম্যাকাও
স্কারলেট ম্যাকাও বাংলাদেশি কোন পাখি নয়। বরং পাখিটি দক্ষিণ ও মত আফ্রিকার চিরস্থায়ী আর্দ্র বনাঞ্চলের একটি স্থানীয় পাখি। স্কারলেট ম্যাকাও পাখিটি তার মোহনীয় রূপের কারণে সর্বাধিক বিখ্যাত। পাখিটি উজ্জ্বল লাল, নীল ও হলুদ রঙের সমাহারে এক অপরূপ পাখি। এছাড়া ডানায় থাকা সবুজ রঙের বেশ সুন্দর একটি প্রলেপ রয়েছে।
এছাড়া স্কারলেট ম্যাকাও দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে পারার ক্ষমতা পাখিটিকে আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়। স্কারলেট ম্যাকাও পাখিকে হন্ডুরাস জাতীয় পাখি হিসেবে ঘোষণা করে।
এছাড়া আপনি অবাক হবেন যে এই পাখিটি পৃথিবীর দীর্ঘ আয়ুর পাখি হিসেবে পরিচিত। আর সাধারণত স্কারলেট ম্যাকাও পাখি প্রায় ৪৫ বছরের মতো বেঁচে থাকতে পারে।
এছাড়া পাখিটির আরো একটি বৈশিষ্ট্য হলো পাখিটি মানুষের কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করে কথা বলতে পারে। সেক্ষেত্রে টিয়া ও ময়না থেকেও পাখিটি সর্বাধিক বুদ্ধিমান। তবে আপনি পাখিটি দেখে হয়তো টিয়া পাখি ভাবতে পারে।
ফ্ল্যামিংগো
ফ্ল্যামিংগো পাখিটি বিখ্যাত তার কমলা রঙের সৌন্দর্যের জন্য। কমলা রঙে হওয়ার কারণে ফ্ল্যামিংগো পাখিকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখি হিসেবে নির্বাচন করা হয়। আপনি হয়তো চিনির অবাক হবেন যে পাখিটি ঘণ্টায় প্রায় ৫৬ কিলোমিটার উড়তে পারে ও সাঁতার কাটাতে এ পাখিটি অত্যন্ত দক্ষ।
তবে পাখিটি দেখে আপনার বক পাখি এর কথা মনে হতে পারে। বর্তমানে পৃথিবীতে ৬টি প্রজাতির ফ্ল্যামিংগো পাখি রয়েছে। বিশেষ করে অ্যান্টার্কটিকাছাড়া প্রায় সব দেশেই এ পাখিটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে পাখিটি পাওয়া যায় না।
ময়ূর
ময়ূর হয়তো আপনি চিনে থাকবেন কারণ ময়ূর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল অঞ্চলে পাওয়া যায়। তবে এশীয় অঞ্চলগুলোতে ময়ূর পাখির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। আর এর সাথে মূলত ২ প্রজাতির ময়ূর পাখির দেখা মেলে। নীল ও সবুজ প্রজাতির ময়ূর। তবে সাদা রঙের ময়ূর এশীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। ময়ূর পাখিকে বর্ষার রানী হিসেবে পরিচিত। বর্ষাতে ময়ূর পাখি পেখম মেলে নাচে।
গোল্ডেন ফিজ্যান্ট
সচরাচর বিভিন্ন সংবাদপত্রে আমরা একটি পাখির নাম শুনে থাকি “ফ্ল্যামিংগো”। বিশ্বের সবচেয়ে রূপময় পাখি হিসেবে অনেক সংবাদমাধ্যম প্রচার করে থাকে। তবে এই পাখি পাওয়া যায় চীনের পশ্চিম অঞ্চলের বনাঞ্চলে। আকারের দিক থেকে পাখিটি ৯০ সেন্টিমিটার থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে।
ব্লু জে
ব্লু জে পাখি ঈগল পাখির ডাক হবো নকল করতে একেবারে ওস্তাদ। সেজন্য পাখিটির রূপের পাশাপাশি অন্য পাখিদের থেকে আলাদা থাকতে বেশ পরিচিত। ব্লু জে পাখিটি সাদা,কালো,নীল রঙের সমাহারে এক অপরূপ সৌন্দর্যের পাখি। শরীরের অধিকাংশ এখানে নীল রঙের প্রভাব বেশি হওয়ায় পাখিটির নাম রাখা হয়েছে ব্লু জে।
এছাড়া পাখিটি একটু দুষ্টু স্বভাবের কারণ পাখিটি অন্য যে কোন পাখির ডাক অনুগ্রহ করে অন্য পাখিকে ভয় দেখিয়ে থাকে।চেহারার পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তার দিক থেকেও এরা বেশ বুদ্ধিমান। এজন্য বুদ্ধিমান পাখির তালিকায় প্রতিনিয়ত বেশ চর্চায় থাকে পাখিটি।
কিল- বিল্ড টুকান
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের তালিকায় কিল-বিল্ড দোকানের নাম রয়েছে। এই পাখিটির আকারা ২০ সেন্টিমিটার হলেও ওজনের দিক থেকে প্রায় চার কেজি হতে পারে। পাখিটি বিভিন্ন রঙের মিশ্রণে এক অপরূপ পাখি। প্রাকৃতির ঠোঁট তার দেহের প্রায় অর্ধেকের মতো হয়ে থাকে। পাখিটির ঠোঁট সবুজ,লাল ও হলুদ রঙের মিশ্রণে অপরূপ তবে দেহের রং হলুদ,সবুজ ও কালো রং এর মিশ্রণে।
অস্ট্রেলিয়ান রাজা তোতা
তোতা পাখির মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান রাজা তোতা বিশ্বে বেশ পরিচিত। এই পাখি বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার পাহাড়ি বন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। আকারের দিক থেকে পাখিটি প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে। পাখিটির মাথার রং আর লাল এবং বাকি পালক সবুজ নীল রঙের মিশ্রণে।
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ
পাখিটি বিশ্বের ছোট পাখির জরিপে এক অপরূপ সুন্দর পাখি। আপনি জেনে হয়তো অবাক হবেন যে পাখিটির দৈর্ঘ্য মাত্র ১২০ মিলিমিটার থেকে ১৪০ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাখিটির পালক এর অংশ বোজ নিল ও হলুদ রঙে মিশ্রিত। এই পাত্রীর মাথা লাল, কালো ও হলুদ রঙের হয়।
কাঠের হাঁস
কাঠের হাঁস পাখিটি দেখতেও প্রায় কাঠের হাঁসের মতোন।এই পাখিটি আমেরিকার জলাভূমি অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায়। মহিলা কাঠের হাঁস পাখির তুলনায় পুরুষ ও কাঠের হাঁস পাখি আত্মা দিয়ে কি সুন্দর হয়ে থাকে। পাখিটির গলার নিচে সাদা শিখাল লাল চোখ এবং বিভিন্ন বর্ণের পালক দেখা যায়।
শেষ কথা
পৃথিবীতে অনেক কিছুই রয়েছে আমাদের আজও অজানা। আর এই অজানা তথ্যের মধ্য থেকে আজ আমরা আপনাকে পাপৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি গুলোর নাম আপনাকে জানিয়েছি। আশা করি আমরা আপনাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখি। গুলোর নাম জানতে পেরেছি ।